দেয়া মাত্রই ৪ টি শেষ: সময়কাল: ঈদ এর আগেরদিন রাত ১১
“স্যার আমার মাকে দশ মিনিট হইলেও অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেন”।এরপর একটি অনুরোধ পেলাম ঠিক মাঠ পর্যায়ে থেকে।
সারা শহরে অক্সিজেন সংকট। গ্রামাঞ্চলে ও অক্সিজেন সংকট।এমন একটি অনুরোধ মাঝরাতে আসলো একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার সংগ্রহ করতে ঘাম ঝরে গেল পুরো সেচ্ছাসেবক দলের। অবশেষে ম্যানেজ হলো। হাতে আর অক্সিজেন নেই কিন্তু চারিদিকে হাহাকার। তাই আবারো ঢাকার শরনাপন্ন হলাম।সেচ্ছাসেবকদের বলে দিলাম সাথে সাথে চলে গেলো তারা।অবশেষে রাত এগারোটার দিকে একটি জায়গায় পাওয়া গেলো ১২টি সিলিন্ডার। তার মধ্যে ১০টির জন্য বুকিং দিলাম। কিন্তু টাকা কোথায় পাবো এতো রাতে।ব্যাংক বন্ধ।সব বন্ধ।৬ঘন্টা চেস্টার পর শেষ পর্যন্ত রাত একটায় টাকাও ম্যানেজ হলো। গাড়িও ম্যানেজ হলো। যেমন প্লান তেমনি কাজ।ঢাকা থেকে সেচ্ছাসেবক দলটি নিজ দায়িত্বে পৌছে দিল প্রিয় দেবিদ্বারে আবারো দশটি অক্সিজেন সিলিন্ডার অক্সিজেন সহ। আশা করছি কাজে লাগবে কিন্তু কতদিন এভাবে টানাহেঁচড়া করে চলবে সেটি ই প্রশ্ন।আগে ব্যবহৃত সমস্ত সিলিন্ডার গুলো শেষ হয়ে গেলো। এখন নতুন সিলিন্ডার নিয়ে আবারও মানুষের পাশে দাড়ানো। আশা করছি কিছুটা হলেও সংকটময় পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে।
এই ঈদের আনন্দের মাঝেও যেন আমরা এই কাজগুলো করি যারা সামর্থ্য রাখি।নিজেদের ব্যায়বহুল জীবন যাপনকে কিছুটা সাধারণ করে আমরা এগুলো করতেই পারি।প্রয়োজন একটু সদিচ্ছা।যারা সাহায্য করার জন্য যথেষ্ট পরিমানে সামর্থ্যবান তাদের এগিয়ে আসতে হবে।একদল অর্থের অভাবে কস্ট পাবে আর একদল পায়েস, সেমাই,শাড়ি, গয়না নিয়ে ব্যস্ত থাকবে এই অসামঞ্জস্য সমাজ থেকে দূর করতেই হবে।
ভালো থেকো প্রিয় দেশবাসী।প্রয়োজনীয় সাস্থ্যবিধি মেনে আনন্দের সাথে ঈদ উদযাপন করুন।
স্যালুট সেচ্ছাসেবক তোমাদের।
ডাঃফেরদৌস, নিউইয়র্ক।