দেবিদ্বারে আবারো চলাচলের পথে ভাসমান হকার।
মোহাম্মদ উল্লাহ ভূইয়া(সোহাগ)
দেবিদ্বার কলেজ গেইট থেকে পান বাজারের প্রথম ফটক পর্যন্ত বরাবরই থাকছে হকারদের দখলে।যদিও প্রায় এক বছর পর পর প্রশাসনের পরিচালিত অভিযানে ফুটপাতগুলো দখলমুক্ত করার পর অভিযান শেষ হতে না হতেই হকাররা আবার দুই তিন দিনের মধ্যে দখলে নেয়ার ঘটনা ঘটছে। যার কারনে ফুটপাত দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছেন না পথচারীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায় অবৈধ ভাবে পরিচালিত হয় এই ফুটপাতের দোকানগুলো।প্রায় এক বছর আগে নিউ মার্কেট,পান বাজার,কাচা বাজারের ফুটপাতে অবস্থিত দোকানিদের সরাতে প্রায় সময় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সময়ে সময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানও পরিচালনা করেছেন। কিন্তু অভিযানের পর দেখা যায় পুনরায় হকাররা বহাল তবিয়তে বসে আছে। এতে প্রশাসন অভিযান পরবর্তী ফুটপাতে হকারদের বসা নিয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। ফলে পথচারীরা আবারও শিকার হয় দুর্ভোগের। পথচারীদের ফুটপাত ছেড়ে রাস্তায় চলাচল করতে বাদ্য হচ্ছে। আগে কলেজ রোডস্থ সকল ফুটপাত কয়েক দফায় উচ্ছেদ করা হলেও এখন পর্যন্ত তাদের হাত থেকে ফুটপাতমুক্ত করা সম্ভব হয়নি। দেবিদ্বারে কলেজ রোড সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মূল রাস্তার প্রায় অর্ধেক জুড়ে থাকে হকারদের আধিপত্য। যেখানে পথচারিদের নির্বিঘ্নে পথ চলার চিন্তা করাই বৃথা।
প্রশাসনের চোখের সামনেই চলছে হকারদের এমন সব অবৈধ ফুটপাত দখল।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হকার ব্যাবসায়িক বলেন স্থানীয় প্রভাবশালীদের টাকা দিয়ে হকাররা ব্যবসা করে জীবনধারণ করছেন। তাদের পুনর্বাসন করা হলে ফুটপাত আর দখল হবে না। তারা চান চাঁদাবাজির শিকার না হয়ে পৌর প্রশাসককে বৈধভাবে রাজস্ব দিয়ে ব্যবসা করতে।যানজট কমাতে ও পথচারীদের নির্বিঘ্নে চলাচলের সুবিধার্থে ফুটপাতের এক ইঞ্চি রাস্তাও অবৈধভাবে দখল হতে দেয়া হবে না।প্রশাসন ও প্রশাসকের এমন কথার কতটুকু যুক্তিকতা আছে তা উপরের ছবি দেখলেই বুঝা যায়।তাই সাধারন জনগন প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন যেনো খুব দ্রুত এই অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে ফুটপাত দখল মুক্ত করা হয়।