বাকেরগঞ্জ সংবাদ দাতাঃ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী হামলা মামলা গ্রেফতারে নাকাল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল আলম চুন্নু সমার্থকরা। এ বিষয় সদ্য বিজয়ী নৌকা প্রার্থী মেজর জেনারেল অবঃ হাফিজ মল্লিক কারো অপকর্মের দ্যায় বহন করবেন না বলে ঘোষণা দিলেও আদতে কেউ মানছেনা তার নির্দেশ। পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেন লোক দেখানো প্রচারনাই হয়তো তার আসল উদ্দিশ্য, নতুবা কথা ও কাজে মিল থাকলে উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগ সভাপতি শাহআলম ঢালিকে মিথ্যা সাজানো মামলায় গ্রেফতার করা হতোনা। এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়ন নেতাকর্মীদের উপর হামলা নির্যাতন হুমকি দামকি অবহ্যত আছে। অনেকেই হামলা মামলার ভয়ে বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যত্র আত্মাগোপনে আছেন। অনেকে আগাম জামিনে আছেন, এমন কি গ্রেফতার কৃত আসামী শাহআলম ঢালি ও জামিনে মুক্তি পেয়ে ভয়ে এলাকায় আসেননি। অথচ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম চুন্নু দলিয় সিদ্ধান্তের ওপর শ্রদ্ধা রেখেই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন। নিজ ঘরের মধ্যে এমন প্রতিহিংস মনভাব কারো কাম্য নয়। সকলেরই একটাই উদ্দেশ্য ছিল জননেত্রী শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হবে। বিদেশিদের কাছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে তার পরিকল্পনার অংশ এই নির্বাচন, দলের মধ্যে থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে উৎসবমুখর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দেয়া। এ নিয়ে নিজেদের দলের মধ্যে ৭ তারিখের পর থেকে কোন বিভেদ, ব্যক্তি পর্যায়ে সম্পর্ক নষ্ট হবার কথা নয়। তা সত্বেও একের বিরুদ্ধে অন্যকে উস্কানিমূলক কথা বলা। হামলা মামলা গ্রেফতার ঘটনা ঘটেছে এগুলো দলিয় কোন্দোলে অনেক খারাপ পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটাবে বলে বোদ্ধা মহলের ধারণা। অথচ পঞ্চম বারের মত জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের পাশাপাশি বিজয়ী প্রার্থীকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী শামসুল আলম চুন্নু সহ তার সমার্থক নেতাকর্মীরা। তা সত্বেও হুমকি দামকি মামলা মোকদ্দমা হয়রানি অবহ্যত থাকায় ভয়ে আতংকে নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ বিষয় প্রধানমন্ত্রী সহ যথাযথ কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবারের নেতাকর্মীরা।