দেবিদ্বারে রাস্তার পাশে মিললো যুবকের চোখ উপড়ানো মরদেহ
মোহাম্মদ উল্লাহ ভূইয়া (সোহাগ)
কুমিল্লার দেবিদ্বারে রাস্তার পাশে থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের এক চোখ উপড়ানো ও এক কান কাটাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
রোববার (১১ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের উত্তর সাইচাপাড়া গ্রামের শান্তিরোড নামে একটি রাস্তার পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম মোঃ হুমায়ুন কবির (৪০)। সে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার পশ্চিম চন্ডিপুর গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে এবং পেশায় একজন বাবুর্চি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার ভোরে গায়ে নীল রঙের ফুল হাতা হুডি ও পরণে লুঙ্গী পরিহিত এক যুবকের মরদেহ রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। মরদেহের ডানকানের কিছু অংশ কাটা এবং ডান চোখ উপড়ানো ছিল। তাদের ধারনা রাতে কে বা কারা তাকে হত্যা করে রাস্তার পাশে ফেলে গেছে। থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী পারভিন আক্তার বলেন, হুমায়ূন তিন দিন ধরে বাড়িতে নেই। সকালে খবরপাই সাইচাপাড়ায় তার লাশ পড়ে আছে। এক নারী আমার স্বামীর সাথে বাবুর্চির কাজ করত। দীর্ঘদিন যাবত দুজনের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমি অনেকবার স্বামীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি কিন্তু ব্যর্থ হই। কিছুদিন আগে ওই নারী আমাকে বলেছিল, আমার স্বামীকে সে নিবে না আমাকেও পেতে দিবে না। সে লোক দিয়ে আমার স্বামীকে হত্যা করে থাকতে পারে।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নয়ন মিয়া জানান, নিহতের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার ও সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, মরদেহের একটি চোখ উপড়ানো ও একটি কানের আংশিক কাটা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের যে কোনো সময় দুর্বৃত্তরা তাকে হত্য করে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।