দেবিদ্বার জেলা পরিষদ ডাকবাংলো যেন জীর্ণ কুটি।
মোহাম্মদ উল্লাহ ভূইয়া (সোহাগ)
কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলা,কুমিল্লা উত্তরে গোমতী নদীর পারে এই উপজেলার অবস্থান। ১৫ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে দেবিদ্বার উপজেলা গঠিত।
এই উপজেলার সদরে পোস্ট অফিসের সামনে পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত এই উপজেলার একমাত্র জেলা পরিষদের ডাক বাংলোটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভবনের দেয়ালের অনেক স্থানে প্লাস্টার খসে পড়ছে।সামনের প্রবেশ পথের গেইটে লেখা সাইনবোর্ডটি বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এই জরাজীর্ণ ভবনটি জেলা পরিষদের ডাকবাংলো।এক কথায় আধুনিকতার এই সময়ে জেলা পরিষদের এই ডাক বাংলোটি এখন ব্যাবহারের অনুপযোগী হয়ে পরেছে।
জানা যায় ২০০৮ সালের পর থেকে মরহুম গোলাম মোস্তফা সাহেব এমপি থাকা অবস্থায় ব্যবহার উপযোগী ছিলো এবং তিনি দেবিদ্বার আসলে এইরডাকবাংলোয় থাকতেন ও সময় দিতেন।এরপর রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এমপি হওয়ার পর ২/১ বার কোনভাবে এটিকে সংস্কার করা হলেও গত কয়েক বছর এই ডাকবাংলোর আবাসিক কক্ষগুলো কোন সংস্কারের কাজ হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেলো, ভবনের সামনের প্রবেশ পথে একটি গেইট থকলেও ভেতরে প্রবেশ করা অনুপযোগী।নেই কোন সীমানা প্রাচীর তবে মূল ভবনটি জরাজীর্ণ যেখানে থাকা তো দূরের কথা গিয়ে দেখারও কোন ব্যাবস্থা নেই।অযত্ন ও অবহেলায় বাহির থেকে বুঝার কোন উপায় নাই এটা জেলা পরিষদ ডাক বাংলো।
কক্ষের ভিতরের নেই কোন আবাসিক বেড,নেই বাথরুমের দরজা,কক্ষের জানালা ভাঙা। সংস্কারের অভাব ও বৃষ্টির পানিতে ভবনের দেয়াল ও প্রাচীর নষ্ট হয়ে গেছে।তবে এখনো ডাকবাংলো প্রবেশের প্রধান গেইটটি স্থির দাড়িয়ে আছে অবহেলায় আর অযত্নে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেবিদ্বার উপজেলায় কর্মরত একজন সরকারি কর্মকর্তা জানান
এতো বড় একটি উপজেলায় ডাকবাংলোর চিত্র এমন হবে কেন?এই দায় কার?দায়িত্বশীলের অবহেলায় আজ ডাকবাংলাটির এই অবস্থা। তিনি ডাকবাংলোটি সংস্কার ও পুর্নঃনির্মানের দাবি জানান।