আলমডাঙ্গার এক অনন্য বাতিঘর, অসামান্য আলোকবর্তিকা , কালজয়ী কিংবদন্তী বুদ্ধিজীবী আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম মকবুলার রহমান আর নেই । ( ইন্নালিল্লাহি….রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। বেশ কয়েকমাস ধরে তিনি শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছেন। বেশ কিছুদিন ধরে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কোনো কোনো সময় অল্প কথা বলতে পারলেও মাঝে মাঝেই চেতনা হারিয়ে ফেলছিলেন। তার চিকিৎসার জন্য ২০ জানুয়ারী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখাই তিনি মৃত্যু বরণ করেন।জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা বাজারের প্রয়াত ডা. মকছুদ আলীর ছেলে এম মকবুলার রহমান এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি। বেশকিছু দিন ধরে অসুস্থতার কারণে শয্যাশায়ী ছিলেন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার ২১ জানুয়ারী রাত আনুমানিক ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন। তার মৃত্যুকে চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গার বিভিন্ন মহল গভীর শোক প্রকাশ।উল্লেখ্য: মকবুলার রহমান জেহালা ইউনিয়নের জেহালা বাজার গ্রামস্থ স্থানীয় প্রভাবশালী সম্মানী ব্যক্তি। তিনি বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে অন্যতম। তিনি কোলকাতা শান্তি নিকেতনে স্কুলে লেখাপড়া করেছেন। তিনি খুলনা বিভাগীয় আইনশৃভ্খলা কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন। বিশিষ্টি সমাজ সেবক সাবেক আলমডাঙ্গা উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়াও ১৯৭১ সালের ভারত পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যমন্ত্রি আনন্দ মোহন বিশ্বাসের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন । ১৯৬৮ ও ১৯৭১ সালের জেহালা ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এছাড়াও তিনি মুন্সিগঞ্জ একাডেমী স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন । ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশ গেরিলা বাহিনীর উপদেষ্টা ছিলেন।আজ শুক্রবার ২২ জানুয়ারী ফজর নামাজ-এর পর জেলা প্রশাসন এর তত্বাবধানে চুয়াডাঙ্গা তে প্রথম নামাজ এ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ জুম্মা মুন্সিগঞ্জ দ্বিতীয় নামাজ এ অনুষ্ঠিত হবে।মহুরমের নামাজ এ জানাজায় সকলকে উপস্থিত হবার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।