তাদের দাবি, মাদার চিংড়ি সংকটের কারণে হ্যাচারি বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি এবারের মৌসুমে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার উল্টো দাবি, বর্তমানে কোনো হ্যাচারি বন্ধ নেই এবং মাদার চিংড়ি সংকটও হবে না।
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের সমুদ্র উপকূলে রয়েছে ৪০টির বেশি চিংড়ি পোনা হ্যাচারি। এ হ্যাচারিগুলো প্রতি মৌসুমে পোনা উৎপাদন করে যা যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলায় সরবরাহ করে থাকে।
চলতি মৌসুমে প্রথম দুই সার্কেল ভালোভাবে চিংড়ি পোনা উৎপাদন করে হ্যাচারিগুলো। কিন্তু গত এপ্রিল মাসে হঠাৎ সাগরের পানির কারণে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে হ্যাচারিগুলোতে পোনা উৎপাদন ব্যাহত হয়। বৃষ্টির পর ব্যাকটেরিয়া কমে গেলেও নতুন করে মাদার চিংড়ি সংকটে পড়েছে হ্যাচারিগুলো। ফলে হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে দাবি হ্যাচারি মালিকদের।
এখন ৭টি হ্যাচারি উৎপাদনে থাকলেও সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরের মাদার পোনা দিয়ে উৎপাদনে যেতে পারলে ঘাটতি কিছুটা কমবে বলে জানান শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম খালেকুজ্জামানের দাবি, চিংড়ির কোনো হ্যাচারি বন্ধ নেই। মাদার চিংড়ির সংকট হবে না।
চলতি মৌসুমে কক্সবাজারের হ্যাচারিগুলো ৮০০ কোটি চিংড়ি পোনা সরবরাহ করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৬টি সার্কেলের মধ্যে ৪টি সার্কেলে সরবরাহ করেছে ৪০০ কোটি পোনা।