*************************************
এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ
অধ্যাপক ড. সিরাজ সালেকীন, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক। নানা গুনে গুনান্বিত ও বহুমাতৃক প্রতিভা ও মানবতাবাদী প্রগতিশীল চিন্তা চেতনার অধিকারী। তিনি একাধারে শিক্ষক, লেখক, গবেষক, কবি, প্রাবন্ধিক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং সম্পাদক। নম্র- ভদ্র, সাবলিল ও মৃদুভাষী এবং সৎ, নির্ভিক পথ চলায় অবিচল স্পষ্টবাদী এ মানুষটি, সদালাপী স্বজ্জন হিসেবে কঠিন অধ্যবসায়ের মধ্য দিয়ে শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া, সাহিত্যিক কর্মকান্ডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তিনি ১৯৬৮ ইং সনের ১৫ অক্টোবর কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ৬নং ফতেহাবাদ ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম মরহুম ডাঃ মোহাম্মদ হোসেন (হোসেন ডাক্তার), মাতা মরহুমা আমেনা খাতুন। ২ ভাই ও ৬ বোন সহ ৮ ভাই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। (৮ ভাই বোন হলেন, সুফিয়া বেগম, মো. মফিজুল ইসলাম, রফিয়া খাতুন, রহিমা খাতুন, সাহিদা বেগম, জোস্না বেগম, ফাতেমা বেগম এবং অধ্যাপক ড. সিরাজ সালেকীন।)
ব্যক্তি জীবনে তিনি এক পুত্র সন্তানের জনক, পুত্র আনন্দ অন্ত:লীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন রত। স্ত্রী ডেইজি মুরশিদা গৃহিনী।
শৈশব ও শিক্ষা জীবন ঃ
****************************
শৈশবে পৈত্রিক ভিটেতে অবস্থান করলেও বেশদিন পিত্রালয়ে থাকতে পারেননি। বড় ভাই মফিজুল ইসলাম প্রবাস জীবন শেষ করে ঢাকা মীরপুরে নিজে বাড়ি তৈরী করে ওখানেই ব্যবসা শুরু করেন। ছোট ভাই সিরাজ সালেকীন জয়পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে পাশ করার পর তাকে তার বড় ভাই মফিজুল ইসলাম ঢাকাস্থ মীরপুর নিজ বাসায় নিয়ে যান এবং তাকে ঢাকা মীরপুর ডি.এম.সি মডেল ইনিষ্টিটিউটে ভর্তি করিয়ে দেন। ওই বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে বৃত্তি সহ ভালো ফলাফল নিয়ে পাশ করেন। একই বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এস.এস.সি’তেও প্রথম বিভাগে কৃতিত্বের সাথে পাশ করে ঢাকা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হন। ওই কলেজ থেকে ১৯৮৭ইং সনে এইচএসসি’তে প্রথম বিভাগে উত্তির্ণ হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে ‘বাংলা ভাষা সাহিত্য’ বিষয়ে বিএ অনার্সে ভর্তি হন। ১৯৯১ সালে বাংলা ভাষা সাহিত্য বিষয়ে বিএ অনার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন। ১৯৯২ সালে এম.এ পরীক্ষায়ও প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। অত্যন্ত মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থী হিসেবে বিএ অনার্স এবং এমএ (উভয়) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে উত্তির্ণ হওয়া ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে শিক্ষাকতায় নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
সিরাজ সালেকীন ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে জীবনানন্দ দাসের ছোট গল্প ঃ “জীবন জিজ্ঞাসা ও শৈলীবিচার” শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। কর্ম জীবনেও গুনীজনদের সংস্পর্শে থেকে শ্রম, মেধায় শিক্ষর্থীদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন।
‘কথাপ্রকাশ’র প্রকাশনায় তার লিখা বেশ কিছু বইও প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য,- “ভারতীয় শাস্ত্রে নারী শিক্ষা” (প্রকাশকাল- ২০১০ইং), “রবীন্দ্রকাব্যে আলোকভাবনা” (প্রকাশকাল- ২০১০ইং), “রবীন্দ্র চেতনায় নারী” (প্রকাশকাল- ২০১২ইং), “নজরুল টু টেম” (প্রকাশকাল- ২০১৫ইং), “জীবনানন্দ দাশের ছোট গল্প ঃ “জীবনজিজ্ঞাসা ও শৈলীবিচার” (প্রকাশকাল- ২০১৮ইং), জীবন গ্রন্থমালা ঃ “জীবনান্দ দাশ ” (প্রকাশকাল- ২০১৮ইং), “কবিতায় নৃগোষ্ঠী মূলত কেন্দ্র থেকে দেখা” (প্রকাশকাল- ২০২০ইং), “খাদ্য কিন্তু আহর্য নয়” (প্রকাশকাল- ২০২১ইং) উল্লেখযোগ্য। শেষের দু’টি বই “কবিতায় নৃগোষ্ঠী মূলত কেন্দ্র থেকে দেখা” ও “খাদ্য কিন্তু আহর্য নয়” ২০২১ সালের বই মেলায় আত্মপ্রকাশ করার কথা রয়েছে।
এছাড়াও সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈ মাসিক পত্রিকা “উলুখাগড়া”র সম্পাদক তিনি।
এবিএম আতিকুর রহমান বাশার,
০১৮১৯৮৪৪১৮২,
১৯/০১/২০২১ইং।