মোহাম্মদ উল্লাহ্ ভূইয়া (সোহাগ)
২০০২ সালে দেবিদ্বার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পৌরসভা হওয়ার পর থেকে নাগরিকদের কর বাড়লেও যথাযথ উন্নয়ন হয়নি। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ পৌরসভা। এ পৌর এলাকায় বিদ্যুৎ, পানি, রাস্তাঘাট ও ড্রেন, কালভার্ট প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। নেই বিনোদন ব্যবস্থা। পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তার পাশে পর্যাপ্ত সড়ক বাতির ব্যবস্থা নেই। কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের মানসিক বিকাশের জন্য শিশুপার্ক তৈরি জরুরি।দেবিদ্বার পৌরসভার সম্ভাব্য এক মেয়র প্রার্থী জানান, বিগত পৌর পরিষদের অপরিকল্পিত কার্যক্রম এবং সীমাহীন উদাসীনতার কারণে পৌরসভাটি সবচেয়ে পিছিয়ে পড়েছে।যদি আসছে নির্বাচনে দেবিদ্বার পৌরসভার পৌর নির্বাচন হয় তাহলে একজন জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে কাউন্সিলর, পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পৌরবাসীর সরাসরি সস্পৃক্ততায় চলমান সমস্যাগুলো সমাধান করা যাবে।
দেবিদ্বার পৌরসভায় নাগরিক সেবা নামেমাত্র। পৌরবাসী নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতাসহ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে দেবিদ্বার পৌরসভা। ঢাকনাবিহীন ড্রেনে পড়ে শিশু ও বৃদ্ধদের যে কোনো মুহূর্তে বড় রকমের বিপদ ঘটছে প্রায় সময়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে পথচারীরা। বেশিরভাগ এলাকায় ময়লারস্তূপ। দুর্গন্ধে ভারি হয়ে উঠছে পরিবেশ। এখানকার বাসিন্দাদের দাবি, পৌর সুবিধা না পেলেও কর দিতে হয় ঠিকই। করের বোঝা ক্রমশই বাড়ছে।দেবিদ্বার নামেই পৌরসভা। কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া নেই বললেই চলে।