শহিদুল্লাহ্ সবুজ
আলী আহমেদ নামে দুইজন শিক্ষক ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ে। একজন আলী আহমেদ ওয়ান আরেকজন আলী আহমেদ টু নামে পরিচিত ছিলেন।
দেবিদ্বার স্কুলের যে কয়েকজন শিক্ষক তাদের স্বমহিমায় ছাত্র- অভিভাবক তথা এলাকাবাসীর কাছে জনপ্রিয়তায় – সম্মানে – আস্থায় – নির্ভরশীলতায় ছিলেন – আছেন, তারমধ্যে আলী আহমেদ টু স্যার অন্যতম।
যে কোন উপায়ে অস্বাভাবিক অর্থ উপার্জন – অপব্যবহার করার মতো তীব্র ক্ষমতা কিংবা সস্তা পরিচিতির লোভী প্রজন্ম যেখানে জ্যামিতিক হারে নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে বাড়ছে।
সেখানে আলী আহমেদ টু স্যারদের সঠিক পাঠদান – নৈতিক শিক্ষা – ইস্পাত কঠিন রুদ্রমূর্তি – আড়ালে মমতা মাখানো স্নেহ হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী তৈরী করেছেন। যারা রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন উন্নত শিরে। যারা সততায় – সম্মানে – স্নেহে – সামাজিকতায় – প্রতিবাদে আগলে রাখে প্রিয় ভূমি। যেখানে প্রতিযোগী হিসেবে পরস্পরকে গড়ে তুলতেন শুভ কিছুর জন্য।
আজ যা প্রায় ম্রিয়মাণ।
দেবিদ্বার স্কুল মানে বাবু বসন্ত কুমার স্যার – নওয়াব আলী স্যার – নজরুল বিএসসি স্যার – বাবু উপেন্দ্র চন্দ্র শর্মা স্যার -(ভিরাল্লার) মান্নান স্যার – (নোয়াখোলার) মান্নান স্যার – রাজ্জাক ভূইয়া স্যার- রাজ্জাক সরকার স্যার – নূর সাত্তার স্যার – আলী আহমেদ ওয়ান – আলী আহমেদ টু – মতিন স্যার – বাবু পন্ডিত স্যার – জামাল কবির স্যার – ওসিউদ্দিন স্যার সহ আরো অনেকে।
স্বর্ণ সময় বোধহয় হারিয়ে যাচ্ছে সময়ের অসুস্থ অস্থিতিশীলতায়, হারিয়ে যাচ্ছে যুগের সেই শিক্ষাগুরুরা। যাদের সামনে পড়লেই বা যাদের কথা মনে পড়লেই একটা বদল ঘটে মনের অজান্তে।
২০ শে নভেম্বর ২০২০, চলে গেলেন
“আলী আহমেদ টু স্যার “।
স্যারের জানাজায় এসে পিছনের দিনগুলো খুব সামনে এসে দাড়িয়ে গেলো।
আল্লাহ স্যারকে সৎকর্মশীলদের কাতারে শামিল করুক।
রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানী সাগীরা।