মোহাম্মদ উল্লাহ্ ভূইয়া(সোহাগ)
অতিরিক্ত পণ্যবোঝাই ট্রাকসহ দৈনিক শত শত ট্রাক্টর যোগে গোমতী নদী থেকে মাটি বোঝাই ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে কুমিল্লা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি লক্ষীপুর ও বারেরা এলাকা থেকে তোলা ভিডিওচিত্র l অতিরিক্ত পণ্যবোঝাই মাটিবাহী ট্রাক্টর, ট্রাকসহ ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ৩৫ কিলোমিটারে অতিরিক্ত পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করায় সড়কের এখন বেহাল অবস্থা। সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিদিন ছোটখাটো দুর্ঘটনার পাশাপাশি ভোগান্তি পোহাচ্ছে মানুষ।
গোমতী থেকে মাটিবাহী ট্রাক্টর ও সিলেট থেকে পাথর বহনকারী ট্রাক যাতায়াত করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি সাধারন জনগনের।
সরেজমিনে দেখা যায়,দেবিদ্বার পৌরশহরসহ পান্নারপুল,বারেরা,ভিড়াল্লা,চরবাকর,লক্ষিপুর,কালিকাপুর,জাফরগন্জসহ দেবিদ্বার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও রাস্তায় বড় ঢিবির মতো সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় প্রতিদিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি চরবাকর মোড়ে গোমতী নদী থেকে মাটি বোঝাই একটি ট্রাক্টর উল্টে যায়।
গত চলতি মাসে এক জরিপে দেখা যায়, সড়কে প্রতিদিন মাটিবাহী ট্রাক্টর প্রায় ২০০ টি চলাচল করে।এসব ট্রাকের বেশির ভাগই গোমতীর মাটি বহন করে যেগুলোর ওজন ধারনক্ষমতার চেয়েও বেশি।এ ধরনের অতিরিক্ত পণ্যবাহী ট্রাক এবং মাটিবাহী ট্রাক্টর চলাচল করায় রাস্তায় বিভিন্ন অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
পৌর এলাকার বাসিন্দা দেবিদ্বার চেয়ারম্যান বাড়ীর সাইফুল ইসলাম বাবু বলেন,গোমতীর মাটি অবৈধভাবে লাইসেন্সবিহীন ট্রাক্টরযোগে কুমিল্লা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে অবাদে না চলাচল করলে রাস্তার এ বেহাল দশা হতো না। এ ছাড়া সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগও পোহাতে হতো না।বেশির ভাগ স্থানে অতিরিক্ত পণ্যবাহী ট্রাক ও মাটিবাহী ট্রাক্টর চলাচলের কারণে রাস্তার এ অবস্থা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।