চিত্রনায়ক শাকিব খান অনেকবার অনেকরকম ঘোষণা দিলেও তার বেশিরভাগই বাস্তবায়ন হয়নি। সম্প্রতি একসঙ্গে চার ছবি নির্মাণের ঘোষণা দেয়ার পরপরই আসন্ন ঈদুল আজহায় ২০০ হলে উন্নতমানের প্রজেকশন মেশিন বসানোর ঘোষণা দিয়ে রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে বেশ কদিন ধরেই তুমুল আলোচনা চলছে চলচ্চিত্রমহলে। এর পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি-তর্কও চলছে বেশ জোরেশোরেই। অনেকেই এটাকে শাকিব খানের আরেকটি স্ট্যান্টবাজি বলেও মন্তব্য করেছেন। এত অল্প সময়ে এতগুলো মেশিন বসানোর খবরকে হাস্যকর ও অবাস্তব বলেও দাবি করেছেন অনেক হলমালিক এবং চলচ্চিত্রব্যক্তিবর্গ। এই ঘোষণাকে চলচ্চিত্রাঙ্গনের লোকজনের কাছে চমক সৃষ্টি করা এবং প্রচারণা পাওয়ার কৌশল হিসেবে ধরে নিয়েছেন কেউ কেউ। যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি শাকিব খানের। উত্তর মেলেনি শাকিব খানের কাছের লোকজনের কাছ থেকেও।
এদিকে ঈদের বাকি আর মাত্র প্রায় ১৮ দিন। এখনও এর কোনো প্রস্তুতি শুরু হয়নি। আদৌ শুরু হবে কিনা, তা কেউ জানে না। এত স্বল্প সময়ে মেশিন বসানোর কাজ অসম্ভব বলে হল মালিক ও সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। অন্যদিকে হল মালিকদের সংগঠন চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতিও এ ব্যাপারে কিছু জানে না। সংগঠনের সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, এ বিষয়ে শাকিবের সঙ্গে তার কোনো কথা হয়নি। তিনি বলেন, শাকিব খানের প্রতিষ্ঠানের মেশিন বসানোর বিষয় নিয়ে সংগঠনের সঙ্গে এখনো কোনো কথা হয়নি তাদের। তাছাড়া বিষয়টি নিয়ে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের মধ্যেও কোনো আলোচনা নেই। সিনেমা হলে সার্ভার, প্রজেক্টর মেশিন, পর্দা এবং সাউন্ড সিস্টেম বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনে ব্যবসা করছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আলীমুলস্নাহ খোকন বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন ঈদের আগে এতগুলো হলে মেশিন বসানো সহজ কাজ নয়।
শাকিব খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রযোজক মো. ইকবাল। তিনি এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নির্বাচনে। তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন তিনি নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত, এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন। এ বিষয়ে বুকিং এজেন্ট সমিতির সভাপতি সারোয়ার হোসেন দিপু বলেন, পরিকল্পনার কথা শুনেছেন। কিন্তু এখনো কোনো হলে মেশিন বসানোর কাজ শুরু হয়নি।